গাড়ি বা বাইক ব্যবহার করলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন গাড়ির তেল। প্রায়শই পেট্রোল পাম্পে যেতে হয় তেল ভরার জন্য। নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হলেও সেখানেও প্রতারিত হতে পারেন আপনি। এবার থেকে তেল ভর্ত্তি করতে গেলে অতিরিক্ত সতর্কতা বজায় রাখতে হবে আপনাকে। কিন্তু জানেন কি কিভাবে প্রতারিত হতে পারেন আপনি? চলুন তাই দেখে নেওয়া যাক।
তেল ভর্ত্তি করতে গেলে প্রথমেই দেখে নিন শুন্য আছে কিনা দেখে নিন। তবে সেখানেই সন্তুষ্ট হবেন না। আপনি যখন আপনার গাড়ি নিয়ে পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে যাবেন, তখন আগেভাগেই কর্মচারী বলে মিটারে জিরো চেক করে নিতে বলুন। তবে এই মিটার ডিসপ্লের দিকে নজরের রাখুন। আরো একটি বিষয় জরুরি।
দ্বিতীয়ত আপনার মিটারের ঘনত্বের দিকেও নজর দিতে হবে। এটি যুক্ত রয়েছে তেলের বিশুদ্ধতার সাথে। আপনার গাড়ির পেট্রোল এবং ডিজেল কতখানি বিশুদ্ধ তাই জানা যায় এখান থেকে। জ্বালানির বিশুদ্ধতা দেখার জন্য নজরে রাখুন এই মিটার, তাহলেও বেশ কিছু টাকা বাঁচাতে পারেন আপনি। ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে তেলের গুণমান।
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, ঘনত্বে তারতম্য এলে সেখানে ভেজাল দ্রব্য মেশানো রয়েছে বলে বোঝা যায়। সাধারণত প্রতি ঘনমিটারে পেট্রোলের ঘনত্ব রয়েছে ৭৩০ থেকে ৮০০ কিলোগ্রাম এবং ডিজেলের ঘনত্ব রয়েছে ৮৩০ থেকে ৯০০ কিলোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার এর চেয়ে বেশী বা কম থাকলে সেখানে বেশ অনেকখানি ভেজাল রয়েছে। তাই ঘনত্বের দিকে লক্ষ্য রাখুন।
ঘনত্ব ছাড়াও রয়েছে ‘জাম্প ট্রিক’। সেখানে মিটার দেখিয়ে প্রতারণা করা হয় গ্রাহকদের। আপনি মিটারে শূন্য দেখছেন ঠিকই কিন্তু হঠাৎ করে 6-7 অংকে পৌঁছে যায়। এর মাঝের 2-3-4-5 অংক দেখা যায়না। তাই এই দিকেও লক্ষ্য রাখুন। একইসাথে লক্ষ্য রাখুন অটো কাটারের দিকে। পেট্রোল পাম্পের অগ্রভাগ ম্যানুয়াল হলে কর্মচারী মাঝপথে এটি বন্ধ করে চাপ কমাতে পারে এবং এটি পেট্রোল বা ডিজেলের পরিমাণকে প্রভাবিত করে। সেরকম হলে 18002333555 নাম্বারে অভিযোগ করতে পারেন আপনি।